সন্তান জন্মানোর পর করনীয় সুন্নাহ



সন্তান দুনিয়াতে আসলো তখন আপনি কি করবেন, কুরআন ও হাদিস সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান না থাকায় মানুষ ইহুদী-খ্রিস্টানদের কৃষ্টি-কালচার অনুকরন করে যা কখনোই কল্যানকর নয়।

সন্তান পৃথিবীতে আসার সাথে সাথেই কিছু গুরুত্বপূর্ণ দ্বায়িত্ব পিতা মাতার উপর বর্তায়, দ্বায়িত্বগুলো হলো

সন্তান পৃথিবীতে আসার পরই আযান দেওয়া

ইসলামি শরিয়তের বিধান অনুযায়ী নবজাতকের ডান কানে আজান এবং বাম কানে ইকামত দেওয়া সুন্নাত। চাই নবজাকত ছেলে হোক কিংবা মেয়ে। উভয়ের ক্ষেত্রে আজান ও ইকামতের বিধান সমান। এটি একাধিক হাদিস দ্বারা প্রমাণিত।

হজরত ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহ আনহু বর্ণনা করেন, হজরত হাসান ইবন আলি রাদিয়াল্লাহু আনহুর জন্মগ্রহণের দিন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তার ডান কানে আজান ও বাম কানে ইকামত দিয়েছিলেন।' (বায়হাকি)

হজরত উবাইদুল্লাহ ইবনু আবু রাফে রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন হজরত ফাতেমা রাদিয়াল্লাহু আনহা  হাসান ইবনু আলিকে প্রস্রাব করালে আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে হাসানের কানে নামাজের আজানের মতো আজান দিতে দেখেছি।’ (তিরমিজি, আবু দাউদ, মুসনাদে আহামদ, বায়হাকি)

 দ্বিতীয় করানীয় আমাদের দেশের মানুষ বুঝে না মানে হচ্ছে সন্তান পৃথিবীতে আসার পরই একজন সৎ পরহেজগার মানুষের সংস্পর্শ -সাহাবীরা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট রাহমাতুল্লাহমুখের লালা লালা মিশ্রিত হালকা হালকা মিষ্টি জাতীয় শিশুর মুখে দিতেন,  আপনাকে চেষ্টা করতে হবে যাকে আপনি পরহেজগার মনে করেন, ভালো আলেম মনে করেন আল্লাহ ভীরু তাকওয়াবান মনে করেন এরকম একজন ব্যক্তির মুখের লালা সংগ্রহ করে এবং খাবারের মাধ্যমে আপনার সন্তানের মুখ দিতে পারেন। এটা বিজ্ঞানসম্মত, ও সুন্নাত।

সন্তান জন্মগ্রহন করার পর সুন্দর অর্থবহন করে এমন নাম রাখা সুন্নাত,নবী (সা.) বলেছেন, ‘জন্মের সপ্তম দিবসে নবজাতকের নাম রাখো।’ (তিরমিজি: ২৮৩২)। হজরত আয়েশা (রা.) বলেন, ‘সপ্তম দিনে রাসুলুল্লাহ (সা.) হাসান (রা.) ও হোসাইন (রা.)-এর আকিকা দিয়েছেন এবং তাঁদের নাম রেখেছেন।’ (বায়হাকি: ১৯০৫৫)।

সাত দিনের দিন আপনি আপনার সন্তানকে আকিকা করাবেন এই সাতদিনের দিন আপনার সন্তানের মাথার চুল কেটে সেই চুলের সমপরিমাণ স্বর্ণ-রৌপ্য আল্লাহর রাস্তায় দান করে দিতে হবে এটাও সুন্নাত।

মন্তব্যসমূহ